About us
সংগঠনের নাম:
সমন্বিত প্রয়াস
(Association for Growth, Empowerment & Advancement — একসাথে)
১. লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
সমন্বিত প্রয়াস একটি কল্যাণমুখী সমবায়ভিত্তিক সংগঠন, যার প্রধান উদ্দেশ্য হলো সদস্যদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, আত্মনির্ভরতা এবং নৈতিক ও অংশগ্রহণমূলক নেতৃত্ব গঠনের মাধ্যমে একটি টেকসই, সমৃদ্ধ এবং সহযোগিতামূলক সমাজ গঠন।
লক্ষ্যসমূহ:
১.১ সদস্যদের সার্বিক কল্যাণ সাধন ও জীবনের গুণগত মান উন্নয়ন। ১.২ সচ্ছ, ন্যায়সংগত ও শরিয়া সম্মত বিনিয়োগ নিশ্চিত করে আর্থিক স্থিতিশীলতা অর্জন। ১.৩ সদস্যদের সঞ্চয়, আত্মনির্ভরতা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি। ১.৪ ব্যবসায়িক দক্ষতা, উদ্ভাবন ও নেতৃত্ব বিকাশে প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ প্রদান। ১.৫ উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়িক উদ্যোগকে উৎসাহ দেওয়া। ১.৬ পরিবেশবান্ধব ও টেকসই উন্নয়নমূলক প্রকল্পে সদস্যদের সক্রিয় অংশগ্রহণ। ১.৭ সমাজের প্রান্তিক, নারী ও তরুণ সদস্যদের উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান। ১.৮ পারস্পরিক সহযোগিতা, স্বচ্ছতা ও গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। ১.৯ দারিদ্র্য হ্রাস, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা বাস্তবায়ন। ১.১০ সদস্যদের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও সমস্যা সমাধানে যৌক্তিক ও সম্মানজনক পদ্ধতির প্রচলন।
২. সদস্যপদ ও তাদের অধিকার
২.১ যে কোনো পূর্ণবয়স্ক, সুস্থ মস্তিষ্কের, সৎ ও নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি সদস্য হতে পারবেন। ২.২ নির্ধারিত ফি ও শেয়ার জমা দিয়ে সদস্যপদ লাভ করতে হবে। ২.৩ প্রত্যেক সদস্যের সমান ভোটাধিকার থাকবে। ২.৪ সদস্যগণ প্রশিক্ষণ, বিনিয়োগ ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার জন্য আবেদন করতে পারবেন। ২.৫ নিয়ম লঙ্ঘন করলে সদস্যপদ বাতিল হতে পারে।
৩. ব্যবস্থাপনা কমিটি ও তাদের দায়িত্ব
৩.১ সদস্যদের মধ্য থেকে নির্বাচন/মনোনয়নের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হবে। ৩.২ কমিটির মেয়াদ সাধারণত ২ বছর। ৩.৩ কমিটি সমবায়ের নীতিনির্ধারণ, পরিকল্পনা ও কার্যক্রম পরিচালনা করবে। ৩.৪ সদস্যগণ হলেন সভাপতি, সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ এবং সদস্যরা। ৩.৫ দায়িত্ব পালনে স্বচ্ছতা, নিষ্ঠা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
৪. তহবিল এবং সম্পদ ব্যবহার
৪.১ তহবিল গঠিত হবে শেয়ার, চাঁদা, দান ও বৈধ উৎস থেকে। ৪.২ তহবিল ব্যবহার হবে উন্নয়নমূলক ও কল্যাণমূলক কাজে। ৪.৩ ব্যক্তিগত স্বার্থে তহবিল ব্যবহার নিষিদ্ধ। ৪.৪ সব লেনদেন স্বচ্ছভাবে সংরক্ষিত হবে এবং নিরীক্ষিত হবে।
৫. লভ্যাংশ বণ্টন ও পরিচালন ব্যয় নীতি
৫.১ সংগঠনের পরিচালন ব্যয় যেমন— নির্বাহী বেতন, পরিচালকের সম্মানী ও অফিস ব্যয় মোট মুনাফার ২৫% এর বেশি হতে পারবে না। ৫.২ অবশিষ্ট ৭৫% মুনাফা থেকে:
- ১৫% রাখা হবে সঞ্চয়/সংরক্ষণ তহবিলে।
- ৬০% সদস্যদের মধ্যে বণ্টনযোগ্য লভ্যাংশ হিসেবে ব্যবহৃত হবে। ৫.৩ প্রতি ৬ (ছয়) মাস অন্তর মুনাফা হিসাব করে উপরে বর্ণিত অনুপাতে বণ্টন করা হবে। ৫.৪ সংগঠনের আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এই অনুপাত পর্যালোচনা ও সংশোধন করা যেতে পারে।
৬. সভা ও ভোটিং প্রক্রিয়া
৬.১ বছরে অন্তত একটি সাধারণ সভা (AGM) অনুষ্ঠিত হবে। ৬.২ প্রয়োজনে বিশেষ সভা আহ্বান করা যেতে পারে। ৬.৩ প্রত্যেক সদস্যের এক ভোটের অধিকার থাকবে। ৬.৪ ভোট গোপন বা উন্মুক্ত পদ্ধতিতে গ্রহণযোগ্য হবে। ৬.৫ সমান ভোট হলে সভাপতির ভোট সিদ্ধান্ত হিসেবে বিবেচিত হবে।
৭. নিরীক্ষা ও হিসাব-নিকাশ
৭.১ আর্থিক হিসাব সংরক্ষণ ও বার্ষিক নিরীক্ষা বাধ্যতামূলক। ৭.২ স্বীকৃত নিরীক্ষক দ্বারা নিরীক্ষা করতে হবে। ৭.৩ অনিয়ম ধরা পড়লে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। ৭.৪ সদস্যরা নিরীক্ষিত প্রতিবেদন পর্যালোচনার অধিকার রাখেন।
৮. বিরোধ ও সমাধান
৮.১ মতভেদ হলে অভ্যন্তরীণ সালিশ কমিটি গঠন করা হবে। ৮.২ সালিশ কমিটি নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য সদস্যদের নিয়ে গঠিত হবে। ৮.৩ অভ্যন্তরীণ সমাধান সম্ভব না হলে স্থানীয় প্রশাসন বা আদালতের সহায়তা নেওয়া যাবে। ৮.৪ সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রমাণ ও যুক্তির ভিত্তিতে কাজ হবে।
৯. অতিরিক্ত গুরুত্বপূর্ণ নিয়মাবলি
৯.১ চাঁদা প্রদানে ব্যর্থতা: বিশেষ পরিস্থিতিতে সদস্য লিখিত আবেদন করতে পারবেন এবং কমিটি বিকল্প ব্যবস্থা নিতে পারে। ৯.২ লভ্যাংশ বণ্টনের ভিত্তি: জমা টাকার উপর ভিত্তি করে একটি সুস্পষ্ট নীতি থাকবে। ৯.৩ বিনিয়োগ প্রক্রিয়া: বিনিয়োগের জন্য একটি ছোট কমিটি গঠন করা হবে। ৯.৪ তহবিল উত্তোলন: সদস্যরা নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে নিজেদের সঞ্চয় তহবিল উত্তোলন করতে পারবেন (বিনিয়োগ ফান্ড নয়)। বিনিয়োগ ফান্ড উত্তোলন বিনিয়োগ কমিটির সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে। ৯.৫ শেয়ার বিক্রি: সদস্যরা মুনাফা অর্জনের পর নিজেদের শেয়ার বিক্রি করতে পারবেন। শেয়ার মূল্য নির্ধারণ: "মূল্য + গত ৬ মাসের মুনাফার আনুপাতিক অংশ"। ৯.৬ নমিনি নিয়োগ: মৃত্যুর পর শেয়ার নমিনির অধীনে স্থানান্তরিত হবে (চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কমিটির)। ৯.৭ সদস্যপদ অবসর: সদস্য অবসর নিলে তিনি পাবেন— "সব শেয়ারের মূল্য + সঞ্চয় + চলতি বছরের আনুপাতিক ৬ মাসের মুনাফা (প্রত্যাশিত)।"